,

প্রকাশিত সংবাদের প্রতিবাদ নবীগঞ্জের বিবিয়ানা স্কুলের ভাবমুর্তি ক্ষুন্ন করতে একটি মহল অপ্রচার চালাচ্ছেন

৫ই অক্টোবর দৈনিক হবিগঞ্জ সময় ও দৈনিক হবিগঞ্জ সমাচার পত্রিকায় “নবীগঞ্জে বিবিয়ানা হাই স্কুলের প্রধান শিক্ষক ও সভাপতির বিরুদ্ধে অনিয়মের অভিযোগ” শীর্ষক শিরোনামে সংবাদ প্রকাশিত হলে আমাদের দৃষ্টি গোচর হয়েছে। সংবাদে যে সব অভিযোগ উত্তাপিত করা হয়েছে তা সম্পুর্ণ মিথ্যা, ভিত্তিহীন ও উদ্দেশ্য প্রনোদিত। আমরা উক্ত মিথ্যা সংবাদের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই। অভিযোগকারীদের অন্যায় তদবীর রক্ষা না করায় তারা নানা ষড়যন্ত্র ও মিথ্যা কাল্পনিক অভিযোগ এবং সংবাদ প্রকাশ করিয়েছেন।
প্রকৃত বিষয় হলো, নবীগঞ্জ উপজেলা ১নং বড় ভাকৈর (পশ্চিম) ইউনিয়নের হলিমপুর এলাকায় অবস্থিত বিবিয়ানা আদর্শ হাইস্কুলটি প্রতিষ্ঠিত করেন ওই গ্রামের বিশিষ্ট সমাজ সেবক, দানশীল ও শিক্ষানুরাগী নারায়ন চন্দ্র দাশ, ইতালী প্রবাসী টকন চৌধুরী ও সুষেন দাশ। তারা প্রত্যেকেই ৭৫ শতক করে ভূমি ও নগদ ৪ লাখ টাকা করে দান করে স্কুলটি প্রতিষ্ঠা করেন। স্কুল প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকেই সুনামের সহিত ম্যানেজিং কমিটির সভাপতির দায়িত্ব পালন করে আসছেন দাতা সদস্য নারায়ন চন্দ্র দাশ। অত্যন্ত সুনামের সহিত স্কুলটি পরিচালিত হয়ে আসছে। বিগত ৩ রা মে জাতীয় দৈনিক মানবজমিন পত্রিকায় ১ জন আয়া নিয়োগের জন্য নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হয়। এতে ওই পদে ১০ জন প্রার্থী আবেদন করেন। যাচাই-বাচাইয়ে ১ জনের আবেদন বাতিল হয়। বিগত ২২/০৮/২০২৩ইং তারিখে সকাল ১০টায় উক্ত স্কুলে অনুষ্ঠিত লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষায় ৯ জনের মধ্যে ৪ জন প্রার্থী অংশ গ্রহন করেন। তারা হলেন নবীগঞ্জ উপজেলার হলিমপুর গ্রামের রিংকু তালুকদারের স্ত্রী সুজাতা দাশ, জগন্নাথপুর গ্রামের গোবিন্দ্র চন্দ্র দাশের স্ত্রী পম্পা রানী দাশ, চরগাওঁ গ্রামের রবীন্দ্র বিশা বসের মেয়ে রসমতি বিশ^াস ও চুনারুঘাটের দামুদরপুর গ্রামের অধীর চন্দ্র সরকারের মেয়ে অঞ্জনা রানী সরকার। উক্ত লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষায় সর্বোচ্চ নম্বর ২৪ পেয়ে নির্বাচিত হন অঞ্জনা রানী সরকার। অপর ৩ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে সুজাতা দাশ পান ১৫ নম্বর, পম্পা রানী দাশ পান ১৩ নম্বর, রসমতি বিশ^াস পান ১৭ নম্বর। নিয়োগ কমিটিতে দায়িত্ব পালন করেন উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার সাদেক হোসেন, ডিজি প্রতিনিধি ও নবীগঞ্জ জে,কে সরকারী মডেল হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষক আব্দুস ছালাম, ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি নারায়ন চন্দ্র দাশ, প্রধান শিক্ষক কানু মনি সরকার ও শিক্ষানুরাগী সদস্য সাদেক আলী মাজু। পরীক্ষা চলাকালীন অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন দাতা সদস্য সুষেন দাশ তালুকদার, ম্যানেজিং কমিটির সদস্য বৃন্দ যথাক্রমে সঞ্জয় কান্তি দাশ তালুকদার, মানিক মিয়া মালদার, গিয়াস কামাল, শিল্পী রানী বিশ^াস, হাবিবুর রহমান, কনিকা রানী দাশ তালুকদার প্রমূখ। উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার ও ডিজি মহোদয়ের প্রতিনিধির সার্বিক তত্ত্বাবধানে সুষ্ঠ, নিরপেক্ষ ও স্বচ্চতার ভিত্তিতে নিযোগ কার্যক্রম পরিচালিত হয়েছে। এখানে কোন ধরনের অনিয়ম বা দুর্নীতির আশ্রয় নেয়ার অভিযোগ শুধু মিথ্যাই নয়, হাস্যকরও বটে। মূল বিষয়টি হলো সুজাতা দাশকে আয়া হিসেবে নিয়োগ দেয়ার জন্য ম্যানেজিং কমিটির দাতা সদস্য সুষেন দাশ তালুকদার ও গৌরাঙ্গ চন্দ্র দাশ ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি ও স্কুলের প্রধান শিক্ষক হিসেবে আমাদের অন্যায়ভাবে চাপ প্রয়োগ করেন। তাদের এই অন্যায় দাবীতে সায় না দেয়ায় তারা আমাদের এবং উক্ত স্কুলের ভাবমুর্তি ক্ষুন্ন করার হীনমানসে নানা ষড়যন্ত্র করে আসছেন। উপজেলা নির্বাহী অফিসার মহোদয় বরাবরে একটি মিথ্যা অভিযোগ দাখিল করে সাংবাদিকদের ভুল তথ্য দিয়ে মানহানিকর মিথ্যা বানোয়াট সংবাদ প্রকাশ করেন। এছাড়া সংবাদে স্কুলের আয় ব্যয়ের হিসাব নিয়ে যে বক্তব্য উপস্থাপন করা হয়েছে তাও মিথ্যা ভিত্তিহীন। আমরা উক্ত সংবাদের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জ্ঞাপন করছি।
উল্লেখ্য, স্কুল ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি নারায়ন চন্দ্র দাশ, দীর্ঘদিন ধরে সামাজিক কর্মকান্ডে জড়িত রয়েছেন। তিনি বাংলাদেশ পুজা উদযাপন কমিটি ১নং ইউপির সভাপতি, সাবেক সহ-সভাপতি ১নং ইউপি আওয়ামীলীগ, লামা হলিমপুর কীর্তনের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি, হলিমপুর বিয়ানী বাজার প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি ও সাবেক সদস্য কীর্তি নারায়ন কলেজ ম্যানেজিং কমিটি। ওই কলেজে ৬১ শতক ভুমি দাতা, ২০০৪ সালে নবীগঞ্জে ভয়াবহ বন্যার সময় প্রায় ১০ লক্ষ টাকা বন্যার্ত মানুষের মাঝে ত্রান বিতরণ করেন। লামা হলিমপুরে ৩ লক্ষ টাকা ব্যয়ে মন্দির নির্মাণ করে দেন। নয়া হাটি ভৈরবঘাটের বাউন্ডারী ও গেইট নির্মাণ করে দেন প্রায় ৩ লক্ষ টাকা ব্যয়ে, অনন্ত জিউড় আখড়ায় বড় হলিমপুরে ৩ লক্ষ টাকা ব্যয়ে ১টি মন্দির নির্মাণ করে দেন। ইস্কন মন্দির, মাকুর্লী কীর্তনে অনুদানের পাশাপশি ইউপিসহ বিভিন্ন পূজায় প্রতি বছর আর্থিক অনুদান দিয়ে আসছি। কাজেই আমার বিরুদ্ধে স্কুলের আয় ব্যয়ের হিসাব নিয়ে যে বক্তব্য দেয়া হয়েছে তা সম্পূর্ণ অবান্তর। এছাড়া ২০১২ সালে সহকারী শিক্ষক হিসেবে ওই স্কুলের যোগদান করেন কানু মনি সরকার। পরবর্তীতে উনাকে প্রধান শিক্ষক হিসেবে নিয়োগ দেয়া হয়। উনার আন্তরিক প্রচেষ্টা ও দক্ষতায় স্কুলের শিক্ষার মান অতীতের চেয়ে অনেক গুণ বৃদ্ধি পেয়েছে। বিগত দুইবছর যাবৎ প্রধান শিক্ষক এস এস সি পরীক্ষার ইনাতগঞ্জ কেন্দ্রের হল সুপার হিসেবেও সফলতার সহিত দায়িত্ব পালন করে আসছেন। এসব কর্মকান্ডে ঐশ্যারিত হয়ে একটি বিশেষ মহল আমাদেরকে সামাজিক ভাবে হেয়প্রতিপন্ন করার হীন মানসে নানা কুৎসা রটাচ্ছেন বলে আমরা মনে করি। আশা করি তাদের শুভবুদ্ধির উদয় হবে।

প্রতিবাদকারী
নারায়ন চন্দ্র দাশ
সভাপতি ম্যানেজিং কমিটি
কানু মনি সরকার
প্রধান শিক্ষক
হলিমপুর বিবিয়ানা আর্দশ হাইস্কুল, নবীগঞ্জ।


     এই বিভাগের আরো খবর